ইন্টারনেটের এই যুগে ঘরে বসে সব ধরনের কঠিন কাজও সহজেই করে ফেলা সম্ভব। ঠিক যেমন রেলের টিকিট এখন খুব সহজ। বর্তমানে সবার হাতেই স্মার্টফোন আছে। চাইলে আপনার হাতের মোবাইল দিয়েও প্রয়োজনের খাতিরে দ্রুত ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। তাও আবার একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেই।
‘রেল সেবা’ অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট খুলেই আপনি সেখান থেকে ট্রেনের টিকিট কেনা থেকে শুরু করে ট্রেনের রুট, টিকিটের প্রাপ্যতা, বিভিন্ন স্টেশনের ভাড়া, সময়সূচিসহ মোট ১১ ধরনের সুবিধা পাবেন। তাহলে আর দেরি কেন, জেনে নিন সহজেই স্মার্টফোনে ট্রেনের টিকিট কেনার উপায়।
রেলসেবা অ্যাপ থেকে যেসব সেবাসমূহ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
>> বাংলাদেশের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যাবে>> টিকিট খালি আছে কি না সেই সম্পর্কে জানা যাবে>> কোন গন্তব্যে কত ভাড়া জানা যাবে>> একটি ট্রেনের কি রুট তা জানা যাবে>> ট্রেনের সময়সূচি জানা যাবে>> কোন ট্রেন কোথায় বিরতি দিবে সেই স্টেশনের নাম ও সময়সূচি>> আপনার ভ্রমণ হিস্ট্রি>> কোচ ভিউ, পছন্দমত সিট পছন্দ করা যাবে>> খাবারের মূল্য ও মেন্যু জানা যাবে ও খাবার অর্ডার করা যাবে।>> বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নম্বরসহ বেশ কিছু ফিচার আছে মোবাইল অ্যাপে।
অ্যাপ থেকে টিকেট কেনার উপায়
রেলসেবা নিবন্ধন পেইজ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেন টিকিট কেনার জন্য প্লে-স্টোরে থাকা অ্যাপটির ডাউনলোড করতে হবে। এরপর ‘সাইন-আপ’ অপশনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তবে যারা এরই মধ্যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে অথবা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের আগের পাসওয়ার্ড দিয়েই অ্যাপে ঢুকতে হবে।
আগে অ্যাকাউন্ট করা না থাকলে ‘সাইন আপ’ অপশনে গিয়ে সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন- নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি দিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে হবে প্রথমে।
সঠিকভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা শেষে অ্যাপটির ‘সাইন ইন ’ অপশনের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘লগইন’ করুন। অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার পর অ্যাপের বিভিন্ন সুবিধাগুলো দেখতে পারবেন। সেখানে আছে ‘টিকেট ক্রয়, তথ্য অনুসন্ধান, হিস্ট্রি, ফুড, ট্রেন ট্রেকিং, কোচ ভিউ, কমেন্ট, রেটিং’সহ আরও কিছু অপশন।
যাত্রার তারিখের টিকেট ১০ দিন আগে থেকেই কাটতে পারবেন। টিকিট কিনতে Purchase অপশনে যান। সেখানে কোন স্টেশন থেকে যাবেন নির্বাচন করুন, কোন গন্তব্যে যাবেন নির্বাচন করুন, কত তারিখ যাবেন তা নির্বাচন করুন, তারপর সার্চ ট্রেইন অপশনে ক্লিক করলে আপনার গন্তব্যের সব ট্রেনের তথ্য দেখাবে। সেখান থেকে যে ট্রেনে যেতে চান সেই ট্রেনের আসনের ধরন ও কতজন যাবেন তা নির্বাচন করুন।
তারপর ট্রেন, সিট, ভাড়াসহ বিস্তারিত তথ্য লেখা একটি পেইজ আসবে। সব রিভিউ করে যদি সব ঠিক থাকে সেখানে আপনার জেন্ডার সিলেক্ট করে ‘পেমেন্ট’ করুন। আপনি চাইলে ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, এমেক্স কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমেও টিকেটের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
পেমেন্ট করার পর আপনার টিকিটের বিস্তারিত তথ্য দেখাবে। সেই তথ্য সংরক্ষণ করুন। স্টেশনে সেই তথ্য দেখালে আপনাকে কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করে দিবে। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট একসঙ্গে কাটতে পারবেন। তবে সেটি দিনে দু’বার হিসেবে আটটি টিকিট কিনতে পারবেন।
সূত্র: রেলওয়ে.গভ.বিডি/ভ্রমণ গাইড