ঢাকার কাছাকাছি মুক্ত হাওয়া আর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরে বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামে। শীতকালই হলো গোলাপ গ্রাম ভ্রমণের আদর্শ সময়। সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গোলাপের চাষ হয়। তবে সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, মোস্তাপাড়ায় সবচেয়ে বেশি গোলাপ চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলাপ চাষ হয় সাদুল্লাহপুরে। আর ঢাকা থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ এখানেই ঘুরতে যায়। সাদুল্লাহপুরে গোলাপ ছাড়াও রজনীগন্ধা, জারভারা, গ্লাডিওলাস চাষ হয়।
সাদুল্লাহপুরের গ্রামজুড়ে গোলাপের চাষ হয়। গাম জুড়েই বিস্তীর্ণ গোলাপের ক্ষেত। এক দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় লাল গালিচা বসানো। তুরাগ নদীর তীরবর্তী এই গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষের বর্তমান পেশা গোলাপ চাষ ও তা বিক্রয় করা। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এখানকার গোলাপ ঢাকার গোলাপের চাহিদার যোগান দিচ্ছে।
কীভাবে যাবেন গোলাপ গ্রামে?
ঢাকা ও তার আশপাশ থেকে অনেক ভাবেই গোলাপগ্রামে যাওয়া যায়। তবে সহজ কিছু রুটের বিবরণ থাকছে এই লেখায়
র্যুট-১
যারা উত্তরা হয়ে যেতে চান তারা উত্তরার নর্থ টাওয়ার থেকে দিয়াবাড়ির লেগুনা পাওয়া যায়। দিয়াবাড়িতে থেকে আপনাকে যেতে হবে বিরুলিয়া ব্রিজ। দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া ব্রিজের ভাড়া ২০ টাকা। বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে অটোতে করে যেতে পারবেন সাদুল্লাপুর। ভাড়া পড়বে ২০ টাকা। যারা টঙ্গি থেকে আসতে চান তারা সিএনজি রিজার্ভ করে বিরুলিয়া ব্রিজ আসতে হবে।
র্যুট-২
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, নীলক্ষেত, ফার্মগেট থেকে বাসে করে মিরপুর বেড়িবাধ আসতে হবে। বেড়িবাধের দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাটে নামতে হবে। মনে রাখবেন এই দিয়াবাড়ি কিন্তু উত্তরার দিয়াবাড়ি নয়। বটতলা ঘাট থেকে ১০/১৫ মিনিট পর পর সাদুল্লাপুরের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছেড়ে যায়। সময়লাগে ৩০-৪০ মিনিট। ভাড়া নেয় ২৫ টাকা। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা করেও যাওয়া যায়। ভাড়া নেয় ২৫০-৩০০টাকার মতো।
র্যুট-৩
সাভার থেকে যেতে চাইলে সাভার চৌরংগী মার্কেটের সামনে থেকে লেগুনা বা মিনি বাস যায় আকরান বাজার। সেখান থেকে অটোতে সাদুল্লাহপুর।
সতর্কতা:
যারা নৌপথে ভ্রমণ করবেন তারা সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ফেরার চেষ্টা করবেন। কারণ এরপর সাদুল্লাপুর থেকে ফেরার কোন নৌকা পাওয়া যায় না। গোলাপ বাগানে গিয়ে গোলাপ ছিড়বেন না। গ্রামে ভালো খাবারের হোটেল নেই। তাই খাবার নিয়ে যেতে পারেন। গ্রামের মানুষ বিরক্ত বা তাদের অসুবিধা হয় এমন কাজ করবেন না।