৬ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে পর্যটনকেন্দ্র হচ্ছে চাঁদপুরে

ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক

 

চাঁদপুর পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনার স্থান। এখানে নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন সম্ভাবনার কথা চাঁদপুরবাসী অনেক শুনেছে, অনেকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বিশেষ করে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া বিধৌত চাঁদপুর শহরকে যে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় সে আশার কথাও শুনিয়েছেন অনেকে। এসব স্বপ্ন বাস্তবে দেখার আগ্রহে দিন গুণছিল চাঁদপুরবাসী। কিন্তু সে রকম কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। বেসরকারিভারে কোনো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে নি। তাই চাঁদপুরের জনগণ ভাবছিল এই শহরকে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন সম্ভবত স্বপ্নই থেকে যাবে।

এই মডেলের আদলে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে

কিন্তু না। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবশেষে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি উদ্যোক্তা। জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান Blue River Island Resort and Tourism Club Ltd. চাঁদপুরে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি চাঁদপুরের মেঘনার চরে নান্দনিক ও শৈল্পিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের জন্যে জায়গা লাগবে ৬শ’ একর। ব্যয় করা হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আর এর জন্যে উপযোগী জায়গা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মৌজার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনা নদীর তিনটি চরকে। শহর থেকে এটির অবস্থান হচ্ছে- বড় স্টেশন মোলহেড থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। এখানে তিনটি বিচ্ছিন্ন বিশাল চরকে বেছে নেয়া হয়েছে চাঁদপুরে স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্যে।

 

এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার মেঘনার ওই চরে প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের পরিচালক রাজিব আহমেদ।

সভায় প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন

জানা গেছে, নির্মাণ শুরু হতে যাওয়া এই পর্যটন প্রকল্পে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার, ট্র্যাডিশনাল কটেজ, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট, পাঁচতারকা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিডবোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো সেন্টার, মার্কেট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর এবং আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারোনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, এগ্রি ট্যুরিজম, গ্রিন এনার্জি, পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল প্রভৃতি।

এ প্রসঙ্গে ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের ভ্রমণের ব্যবস্থা ও ২০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের সুবিধা থাকবে। প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন