বিরতিহীন বেজে চলা আলী আমজাদের ঘড়ি

ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক

১৮৭৪ সাল। বৃটিশ ভারতের বড়লাট লর্ড নর্থব্রুক সিলেট সফরে আসবেন। তার আগমনে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার আলী আহমদ খান সিলেট শহরের সুরমা নদীর তীরে একটি ঘড়ির টাওয়ার নির্মাণ করলেন। নামকরণ করলেন নিজের প্রিয় পুত্র আলী আমজাদ খানের নামে। সেই থেকেই এটি পরিচিত আলী আমজাদের ঘড়ি নামে। 

আলী আমজাদের ঘড়ি

টাওয়াটির মূল উচ্চতা ২৬ ফুট। এটি দুই ভাগে বিভক্ত। নিচ থেকে প্রথম অংশের ছাদ পর্যন্ত উচ্চতা ১৩ ফুট। এরপর ছাদ থেকে ঘড়ি যুক্ত অংশের উচ্চতা ৭ ফুট। ঘড়ির ওপরের অংশের উচ্চতা ৬ ফুট। ঘড়ির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং কাটা দুই ফুট। সিলেট শহরের জিরো পয়েন্টে থেকে ১০০ মিটার দুরেই এর অবস্থান। কিন ব্রিজ পার হয়ে সিলেট শহরের উত্তর অংশের প্রবেশমুখে এটি কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে নিরন্তর বেজে চলেছে ঘড়িটি। লোহার খুটির ওপর ঢেউটিনের গম্বুজ আকৃতির এই নান্দনিক স্থাপনাটি যে কাউকেই মুগ্ধ করে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী এটি দেখতে আসেন। বর্তামানে ঘড়িটি দেশ-বিদেশে সিলেট শহরের প্রতীক হিসেবে সুপরিচিত। কিভাবে যাবেন: সিলেট রেলওয়ে স্টেশন বা কদমতলী বাস টার্মিনাল হতে ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন