বাংলাদেশের অচেনা দার্জিলিং

ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক

মাতামুহুরী নদীর দুই পাশে উঁচু–নিচু পর্বতসারি, শীতের ঘনকুয়াশায় ঢাকা মেঘমালা। একটু দূরত্বে দেখা মেলে শ্বেতপাথরের বুক চিরে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ঝরনার রক্তক্ষরণ। স্বচ্ছ-নীল জলের নদীতে ডিঙি নৌকায় ভাসতে ভাসতে আপনার মনে হবে এ এক অন্য রকম দার্জিলিং। যেখানে একসঙ্গে নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘমালার মিলনমেলা। বলছিলাম, কক্সবাজারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন রূপ–লাবণ্যে ভরা এক লীলাভূমির কথা। জায়গাটিতে একবার যাঁদের পা পড়েছে, তাঁদের অনেকের মুখে দার্জিলিংয়ের তুলনা। এখন বিপুল পর্যটক টানছে বাংলাদেশের এই দার্জিলিং। পার্কটির অবস্থান কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে, চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এখান থেকে দক্ষিণ দিকে কিছু দূর গেলে চোখে পড়বে পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলা। লামার মিরিনজা পর্যটনপল্লির উঁচু পাহাড়চূড়ায় আছে ইট-পাথরে নির্মিত বিশাল টাইটানিক জাহাজ। সেই জাহাজে দাঁড়িয়ে দেখা মেলে সুদূরের কক্সবাজার সৈকত, বঙ্গোপসাগর আর মহেশখালী চ্যানেলের। 

মাতামুহুরী নদী

মাতামুহুরী নদীটি বান্দরবানের আলীকদমের আরাকান পর্বত থেকে উৎপত্তি হয়ে লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা ওপর দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। 

মাতামুহুরী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলার অন্তত সাত লাখ মানুষের ভাগ্যবদলের আধার
কক্সবাজারের সুরাজপুর-মানিকপুরে এই নতুন বিনোদনকেন্দ্রে প্রতিদিন যাচ্ছেন হাজারো মানুষ

 

পাহাড়-ঝরণার ‘ইয়াংছা’, দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি এতদিন পযর্টকের দৃষ্টিসীমার বাইরে ছিল

 

যেভাবে যেতে হয়

কক্সবাজার অথবা ঢাকা থেকে সড়কপথে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক) প্রথমে চকরিয়া পৌরসভা বাসস্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে জিপ অথবা মিনিবাসে উঠে প্রায় আট কিলোমিটার গেলে ফাঁসিয়াখালী স্টেশন। সেখান থেকে যেতে হবে বান্দরবানের লামা সড়ক ধরে ১২ কিলোমিটার দূরে ইয়াংছাবাজারে। ইয়াংছাবাজার থেকে অটোরিকশা অথবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে আড়াই কিলোমিটার গেলেই (এখন ইট ও কাঁচা রাস্তা) সামনে পড়বে কাঙ্ক্ষিত সেই পর্যটন স্পট ‘নিভৃতে নিসর্গ’। চকরিয়া থেকে নিভৃত নিসর্গ পার্কে যেতে ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা। প্রাইভেট কারেও যাতায়াত করা যায়। কক্সবাজার শহর থেকে সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা যায়। ইচ্ছা করলে ফিরতি পথে চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামু বৌদ্ধপল্লি, রাবার বাগান, কক্সবাজার শহরের রাখাইন তরুণীদের বার্মিজ মার্কেট ঘুরে আসা যায়।

 

 

সূত্র- আব্দুল কুদ্দুস,প্রথম অলো  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন