প্রিয়জনের মৃত্যু হলেই কাটতে হয় আঙুল

ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক

বিচিত্র এই পৃথিবী। বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীর মানুষের জীবনাচার। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্রে জীবনাচারের পার্থক্য রয়েছে। এই ভিন্নতা পৃথিবীকে করে তুলেছে আরো বেশি বৈচিত্রময় এবং একইসঙ্গে রহস্যময়। বিশেষ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা এতটাই ব্যতিক্রমী যে, শুনলে মনের অজান্তেই আপনার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে— এও কি সম্ভব!

অনেক সময় দেখা যায়, এক গোত্রের জন্য যা প্রথা, অন্য গোত্রের হয়তো সেই বিষয়টি জানা নেই! মানা অনেক পরের বিষয়। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়ায় বাস করা কতিকাদের কথাই ধরা যাক। ক্ষুদ্র এই নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা শোক প্রকাশের জন্য কী করেন আপনি হয়তো ভাবতেই পারছেন না।

আমরা আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে কেদে বুক ভাসাই। শোক প্রকাশ করে সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। দীর্ঘদিন এ কারণে মন খারাপ থাকে। তারপর এক সময় শোক কাটিয়ে উঠি। কিন্তু কতিকা নারীরা নিকটজন মারা গেলে ভিন্ন কিছু করেন। তারা হাতের আঙুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন! যত বার কোনো প্রিয়জন মারা যায় ততবার তারা সানন্দে এই কাজটি করেন। বিষয়টিকে তারা শোকের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখেন তা নয়, এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিকে সম্মানও জানানো হয়।

মজার ব্যাপার হলো, মৃত্যের জন্য কতিকা নারীরা এক ফোটা চোখের পানিও ফেলেন না। পুরুষরাও তাই। তাদের অবশ্য আঙুল কাটতে হয় না। যুগযুগ ধরে এই গোত্রের নারীরা এই প্রথা মেনে আসছেন। যদিও দেশটির সরকার আইন করে এই প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু সেই আইন মানছে কে! কতিকারা কোনোভাবেই এই আইন মানতে রাজী নন। কারণ বিষয়টির ওপর মৃত ব্যক্তির পরকালের শান্তিও যে নির্ভর করে!

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন