নতুন বাইক কিনতে খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়

শাহীদুল ইসলাম By শাহীদুল ইসলাম - 19 December, 2021

নতুন বাইক। বর্তমান সময়ে প্রয়োজনীয় এই জিনিসটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক ভালোবাসা অনেক স্বপ্ন ও আবেগ। তাই বাইক কিনতে গিয়ে আপনাকে বেশ হিসাব নিকাশ করে সিন্ধান্ত নিতে হবে। আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা অনেক কিছুতে নজর দিতে ভুলে যাই। আবার অনেকে জানেই না নতুন বাইক কেনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বাইক কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা প্রয়োজন সেসব বিষয় সম্পর্কে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:


বাইক কেনার আগে করণীয়

>> নিজের পছন্দ ও সামর্থ্য কে এক সাথে করে আপনার জন্য বাইক নির্বাচন করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের মতামত নিন। 

>> আপনি বাইক কেনার আগেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি না থেকে থাকে সেটার জন্য আবেদন করুন। এতে বাইক কিনতে কিনতে আপনার লাইসেন্স চলে আসলে রাস্তায় চালাতে সমস্যা হবে না।

>> নিকটস্থ পার্টস এবং ভালো সার্ভিস সেন্টারের খোঁজ করে রাখুন, যাতে দরকারে সাহায্য নিতে পারেন।


বাইক কেনার সময় করণীয়

>> একটা ভালো বিশ্বাসযোগ্য/রেপুটেড শো রুম থেকে বাইক কিনুন। এমন একটি শো রুম নির্বাচন করুন যে শো রুমটি আপনার বাসার কাছাকাছি এবং নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের অথরাইজ শো রুম যে শো রুমে আপনি সেলস, সার্ভিস, পার্টস সবগুলো একসাথে পাবেন।

>> শো রুমে গিয়ে বাইক পছন্দ করার সময় বাইকটির সব নাট বলটু ঠিক আছে কিনা, সব রকমের পার্টস ঠিক আছে কিনা, কোন পার্টস ভাঙ্গা বা পুরাতন কিনা, টায়ার লিক আছে কিনা এগুলো চেক করে নিন ।

>> বিক্রয় রশিদ পাওয়ার পরে রশিদে উল্লেখ করা ইঞ্জিন ও চেসিসি এর নাম্বার বাইকের সাথে মিলিয়ে নিবেন।

>> যদি সম্ভব হয় বাইকটি একবার টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার তাহলে দিয়ে চেক করে নিন। তা না হলে যখন অবশ্যই বাইকটি বুঝে নিবেন তখন একবার টেস্ট ড্রাইভ দিয়ে চেক করে নিবেন যদি ইনস্ট্যান্ট কোন প্রবলেম আপনি খুঁজে পান সেটা সাথে সাথে শো রুম কে ইনফর্ম করবেন।

>>  বাইকের নাম্বার করার জন্য যে চালানের কাগজ দরকার পরে সেটা একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিয়ে বুঝে নিন । সাধারণত একেক শো রুম এ একেক অংকের টাকা চায়। তবে এইটা ১০০০-২০০০ এর মধ্যেই হয়ে যাবে। যদি শো রুম থেকে নাম্বার করান তাহলে তারা আপনার নাম্বার করার রশিদ এর সাথেই এই টাকা যোগ করে দিবে । নিজে নিজে নাম্বার করতে চাইলে এই কাগজ আপনাকে বিআরটিএ তে জমা দিতে হবে (অবশ্যই একটা ফটোকপি রাখবেন)।

>> শো রুম থেকে সার্ভিস ম্যানুয়াল, বাইক এর ম্যানুয়াল এবং সার্ভিস টোকেন বুঝে নিন । সার্ভিস টোকেন ছাড়া আপনাকে ফ্রি সার্ভিস তারা দিবে না । আপনি আপনার বাইক এর জন্য ৩-৪ টা ফ্রি সার্ভিসিং পাবেন । বাইক এর ম্যানুয়াল অনেকে তুচ্ছ মনে করে এই ব্যাপারে পরে আসছি বিস্তারিত ।

বাইক কেনার পরে করণীয়

বাইক এর ম্যানুয়াল বই পুরোটা পড়ে ফেলুন। অনেক কাজে দেবে আর অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। বাইক এর টায়ার প্রেশার , ব্রেক ইন পিরিয়ড, পিরিয়ডিক মেইন্টেনেন্স, ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড সবই লেখা আছে ম্যানুয়াল বইতে। এইটা পড়লে কষ্ট করে আপনাকে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে পোস্ট দিতে হবে না অনেক জায়গায়। এই ম্যানুয়াল বই কে বলি একটা বাইক এর বাইবেল।

 

অতএব আপনার স্বপ্নের নতুন মোটরসাইকলটি কেনার আগে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয় গুলোর খোঁজ খবর নিবেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে কোন উৎসবের (ঈদ, নববর্ষ) সময় বাইক কিনুন। এই সময়গুলোতে মোটরসাইকেল ডিলারগণ অনেক অফার বা নগদ মূল্য ছাড় দিয়ে থাকেন।

তথ্যসূত্র-বাইকবিডি/সময় নিউজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন