ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক
তার পেশা ও নেশা হচ্ছে ফেসবুকে বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপে যোগদান করে সেখান থেকে সচ্ছল, অসুখী ও কিছুটা বয়স্ক মহিলাকে টার্গেট করে পরিচিত হওয়া। তারপর বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট লোকেশনে ঘুরতে যাওয়া। সেখানে বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি, ভিডিও ধারণ করা।
ঘুরাঘুরি শেষে যে যার কর্মস্থলে বা বাসায় যাওয়ার পর শুরু হয় ভয়-ভীতি প্রদর্শন। ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিও, ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াসহ নিকট আত্মীয় এর নিকট ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে স্বর্ণ-গয়না হাতিয়ে নেয়। এরপর ভুক্তভোগীর ফেসবুক একাউন্ট এবং ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা পয়সা চাওয়া থেকে শুরু করে নারীদের চাপে রাখাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়।
এমনই এক ব্যক্তিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম কামরুল হাসান ওরফে শামীম। র্যাব-৪ বলছে, এই ব্যক্তি সিরিয়াল রেপিস্ট। র্যাব-৪ এর এএসপি মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভুক্তোভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ ডিসেম্বর সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি তার অপকর্মের বিষয় স্বীকার করেছে। তার মোবাইলের গুগল ড্রাইভ থেকে ১৪ জন নারীর বিভিন্ন আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিও, ছবি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি
সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টপ্রকাশিত : ২১:২০, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
