চট্টগ্রামের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। ১১ জানুয়ারি সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কারণে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকার পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় এ এলাকাকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো। উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গা এই ঘোষণার আওতায় থাকবে।
এ খবরে উচ্ছ্বসিত গুলিয়াখালীর লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘোষণাকে তাদের জন্য একটা বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। তারা সরকারের কাছে এই পর্যটন এলাকা ঘিরে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে তাঁরা নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে গুলিয়াখালী যাওয়ার সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া করার জন্য ২০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সৈকত এলাকায় আর কোনোভাবে অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়তে দেওয়া হবে না।
দেশের অন্য সৈকত থেকে গুলিয়াখালির বৈশিষ্ট্য একদমই আলাদা। সৈকতে তপ্ত রোদে পর্যটকদের শীতল ছায়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে গাছগাছালি। সৈকতের মাটি সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা। মাটির আঁকাবাঁকা ভাঁজে ভাঁজে জোয়ারের পানি দোলা দেয়। মাঝেমধ্যে হরিণের উঁকিঝুঁকি, কখনো কখনো ছুটে চলে লাল কাঁকড়া। সৈকতের পশ্চিমে তাকালে দিগন্তজোড়া জলরাশি দেখা যায়। পূর্ব দিকে তাকালে দেখা মেলে পাহাড়ের। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামের দুটি ঝরনা।